দাঁত দিয়ে নখ কাটার স্বভাব অনেকেরই থাকে। আপাতদৃষ্টিতে স্বাভাবিক মনে হলেও ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত হয়। এটা মুদ্রাদোষ, যা মূলত একটা মানসিক রোগ। মুদ্রাদোষ অনেক ধরনের হতে পারে। দাঁত দিয়ে নখ কাটা, বারবার হাত-পা কিংবা মাথা ঝাঁকানো, অযথাই সবার সামনে নাক বা কান পরিষ্কার, অপ্রয়োজনীয় কথা বারবার বলতে থাকা, এর সবই মুদ্রাদোষ। শুরুটা হয়তো ছোটবেলায়, বেড়ে ওঠার পরেও সেটা হতে পারে। বারবার অকারণে নিজের অজান্তেই মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে দেখাও এই রোগের মধ্যে পড়ে।
মুদ্রাদোষ থেকে পরিত্রাণের উপায় জানতে কথা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মেখলা সরকারের সঙ্গে। তিনি বলেন উদ্বেগ কিংবা মানসিক অবসাদ মুদ্রাদোষের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে মানুষ যখন চিন্তামগ্ন থাকে, তখন নিজের অজান্তেই অপ্রয়োজনীয় সব কাজ বারবার করতে থাকে। মুদ্রাদোষগুলো দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। মৃদু কিংবা তীব্র। সব ধরনের মুদ্রাদোষকে মানসিক রোগ বলা ঠিক হবে না। বিশেষ করে মানুষ চিন্তামগ্ন অবস্থায় যে কাজগুলো করে, অন্যান্য সময় সাধারণত সে কাজগুলো করে না।
মুদ্রাদোষের কথা মনে করিয়ে দেওয়া যাবে না
আজ থেকে এমন কাজ আর কখনো করব না। এভাবে মুদ্রাদোষ থেকে বেরিয়ে আসা যাবে না। কোনো কিছুতে দৃঢ় সংকল্প মানে সেই কাজটি বারবার মনে করা। এতে উদ্বেগ বেড়ে যেতে পারে, নিজেকে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে, কাজের কাজ কিছু হবে না। একইভাবে পরিবার-পরিজন যেন রোগীকে তার সমস্যার কথা মনে করিয়ে না দেয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বরং উদ্বেগের কারণ খুঁজে বের করে তা কমাতে সাহায্য করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে মুদ্রাদোষ সময়ের সঙ্গে এমনিতেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়।
সমস্যা তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
সমস্যা গুরুতর হলে তা শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে শৈশবে এ ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে মনস্তত্ত্ববিদ বা সাইকিয়াট্রিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে এবং তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।